চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে রাশিয়ান নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালেই এই জাহাজগুলো বাংলাদেশে আসে। জাহাজ তিনটি হলো: ‘রেইয়েজকি’, ‘হিরো অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন আলদার টিএসওয়াই-ডেনখপভ’ এবং ‘পিয়েচেঙ্গা’। সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাহাজ অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছা জানানো
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, রাশিয়ান জাহাজগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার তাদের আন্তরিক স্বাগত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত, মিলিটারি, এয়ার এবং নেভাল অ্যাটাশে, চট্টগ্রামে অবস্থানরত রাশিয়ান অনারারি কনস্যুল এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। জাহাজগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের সময় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ’ রাশিয়ান জাহাজগুলোকে অভ্যর্থনা জানায়।
সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সফরের কর্মসূচি
বাংলাদেশে অবস্থানকালে রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজ তিনটির অধিনায়ক, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের কমান্ডার, বিএন ফ্লিটের কমান্ডার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়াও সফরকালে জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকরা নৌবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। তারা চট্টগ্রামে অবস্থিত নেভাল অ্যাকাডেমির রেডকিন পয়েন্টে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ ছাড়া নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ ঘাঁটি, আশার আলো স্কুল (বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য পরিচালিত), এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখবেন।
রাশিয়ান জাহাজ পরিদর্শনের সুযোগ
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা এবং নৌবাহিনী পরিচালিত স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজগুলো পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন। এতে শিক্ষার্থীদের কাছে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি হবে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার হবে
এই শুভেচ্ছা সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার নৌবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহযোগিতা ও ভবিষ্যৎ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ভিত্তি আরও মজবুত হবে। কর্মকর্তাদের মধ্যে পেশাগত মতবিনিময় এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান ভাগাভাগির মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সফরের সমাপ্তি
উল্লেখ্য, শুভেচ্ছা সফর শেষে রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজ তিনটি আগামী ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।