সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত "মার্চ ফর গাজা" কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা দিয়েছেন এ উদ্যোগের অন্যতম উদ্যোক্তা, জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই নির্দেশনাগুলো তুলে ধরেন।
পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন,
"সকল শ্রেণি-পেশা-দল-মতের মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে কিছু নির্দেশনা আমরা সবাই অনুসরণের চেষ্টা করব বলে অঙ্গীকার করতে চাই।"
নির্দেশনাগুলো নিম্নরূপ:
১. স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব:
অনুষ্ঠানটি সবার, তাই প্রতিটি অংশগ্রহণকারী যেন নিজেকে আয়োজক ভাবেন এবং সফল করার দায়িত্ব নিজ কাঁধে নেন—এই মনোভাব নিয়ে অংশ নিতে হবে।
২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা:
সমাবেশস্থল ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব প্রত্যেকের। ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখার অনুরোধ জানানো হয়। জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে উপস্থিত মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
৩. শান্তিপূর্ণ আচরণ ও আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা:
উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তা রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তা করা উচিত।
৪. সংহতি প্রকাশের পদ্ধতি:
দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহারে সচেতনতা জরুরি। কেবলমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করা এবং দলীয় প্রতীক এড়িয়ে চলা—এটাই হবে প্রকৃত সংহতি।
৫. জুলুমের প্রতিবাদে দায়িত্বশীলতা:
কোনো ধরনের সহিংসতা বা জানমালের ক্ষতিসাধনকে তিনি ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন,
“জুলুমের প্রতিবাদ আরেক জুলুম দিয়ে করা যায় না।”
শায়খ আহমাদুল্লাহর এই নির্দেশনাগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবং একটি সফল, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।