লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে এমন গ্রাহক নির্বাচন করা জরুরি, যারা কিস্তি পরিশোধে দেরি করবেন না। এজন্য কিছু মূল বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে:
১. আর্থিক স্থিতিশীলতা বিশ্লেষণ করুন:
- গ্রাহকের মাসিক আয় এবং ব্যয়ের তুলনা করুন।
- তাদের চাকরি বা ব্যবসার স্থিতিশীলতা যাচাই করুন।
- আয় প্রমাণের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বেতন স্লিপ, বা কর সংক্রান্ত নথিপত্র চেক করুন।
২. ক্রেডিট ইতিহাস ও স্কোর যাচাই করুন:
- গ্রাহকের পূর্ববর্তী লোনের পরিশোধ ইতিহাস চেক করুন।
- সিবিএস (Credit Bureau Score) বা ক্রেডিট স্কোর যাচাই করুন। ভালো স্কোরের গ্রাহকরা সাধারণত সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করেন।
৩. দায়বদ্ধতা ও আচার-আচরণ:
- আগে কোনো ব্যাংক বা সংস্থার কাছে ঋণ খেলাপি হয়েছেন কি না, তা যাচাই করুন।
- পেশাগত ও সামাজিক প্রোফাইল দেখে বুঝতে চেষ্টা করুন যে তারা কতটা বিশ্বস্ত।
৪. জামিনদার বা গ্যারান্টর থাকলে ভালো:
- পরিচিত, নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির জামিন থাকলে ঋণের ঝুঁকি কমে।
- গ্যারান্টরও আর্থিকভাবে সক্ষম কিনা তা যাচাই করুন।
৫. লোনের উদ্দেশ্য যাচাই করুন:
- যদি লোনের উদ্দেশ্য ব্যবসা উন্নয়ন বা জরুরি প্রয়োজনে হয়, তবে ফিরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- অনর্থক খরচের জন্য লোন চাওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি হতে পারে।
৬. স্বতঃস্ফূর্ত পরিশোধের মানসিকতা:
- কিছু গ্রাহক স্বভাবগতভাবে দেনা পরিশোধে আন্তরিক থাকেন। তারা সময়মতো কিস্তি দিতে আগ্রহী থাকেন।
৭. লোনের পরিমাণ ও সময় বিবেচনা করুন:
- গ্রাহকের সক্ষমতার তুলনায় বেশি পরিমাণ লোন দিলে তারা পরিশোধে গড়িমসি করতে পারেন।
- সময়সীমা অনুযায়ী বাস্তবসম্মত কিস্তির হিসাব করুন।
৮. চুক্তির কঠোরতা নিশ্চিত করুন:
- লোনের শর্তাবলী লিখিতভাবে স্পষ্ট করুন।
- জরিমানা বা আইনি ব্যবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিন।
আপনি যদি এই বিষয়গুলো ঠিকমতো বিশ্লেষণ করতে পারেন, তাহলে লোন দেওয়ার পর কিস্তি পরিশোধের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।